প্রাথমিক শিক্ষা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা-২০২১

বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা-২০২১ শিখন ঘাটতি পূরণ পরিকল্পনাসহ প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তুক বোর্ড এনসিটিবি।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত ৯ মাসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের সাথে সাথে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নির্দেশনাও প্রদান করেছে এনসিটিবি এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমী।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা-২০২১ ও নির্দেশনায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা একটি মুখবন্ধে বলেন-

প্রাথমিক শিক্ষার উপযােগী সকল শিক্ষার্থীর জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা বর্তমান শিক্ষা-বান্ধব সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার।

এ অশ্রণীকার বাস্তবায়নের জন্য সরকার আইন ও বিধি প্রণয়নসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ফলে শতভাগ শিশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি, শ্রেণিকক্ষে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নক্ষেত্রে উল্লেখযােগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারের অগ্রাধিকার এখন জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (SDG) চতুর্থ লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়ন।

মার্চ ২০২০ পর্যন্ত মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে সরকার তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ছড়িয়ে পড়া করােনা ভাইরাস মহামারি সারাবিশ্বের মতাে বাংলাদেশেও সর্বক্ষেত্রে সংকটের সৃষ্টি করেছে।

স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষাক্ষেত্রেও এই মহামারির নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সংক্রমণ রােধ করে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য সরকার ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে।

ছুটির মেয়াদ ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে বর্তমানে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এই অপ্রত্যাশিত দীর্ঘ ছুটির কারণে প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে সরকারের লক্ষ্য অর্জন হুমকির মধ্যে পড়েছে।

করােনা সংকটে প্রাথমিক স্তরের প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। গত ২০২০ শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমােদিত ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি প্রণীত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সময়াবদ্ধ বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা, ২০২০’ অনুসরণ করে মার্চ ২০২০ পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।

এসময়ে পাঠ্যসূচির ২৫-৩০ ভাগ শিখন সম্পন্ন হয়। ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত ছুটি থাকায় শিক্ষার্থীদের শিখন লক্ষ্যে অর্জনে বড় রকমের ঘাটতি হয়েছে।

এই ক্ষতি পূরণ করে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

সংসদ টেলিভিশনে প্রচারিত ঘরে বসে শিখি’, বেতারে প্রাথমিকের পাঠ প্রচার এবং অন্যান্য অনলাইনভিত্তিক মাধ্যমে পাঠ প্রচার সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।

কিন্তু আর্থ-সামাজিক ও ভৌগােলিক কারণে শতভাগ শিক্ষার্থীকে এই ব্যবস্থার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। ফলে তাদের পক্ষে পরবর্তী স্তরের শিখনফল অর্জন বাধাগ্রস্ত হয়।

এজন্য করোনা মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি ২০২০ শিক্ষাবর্ষের জন্য দুটি (অক্টোবর ডিসেম্বর, ২০২০ এবং নভেম্বর-ডিসেম্বর, ২০২০) সংক্ষিপ্ত পরিমার্জিত পাঠপরিকল্পনা প্রস্তুত করে।

এনসিটিবি কর্তৃক ২০২১ সালের জন্য একটি লেসন রিকভারী প্ল্যান প্রস্তুত করা হয়। জানুয়ারী ২০২১ হতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খােলার কারণে এবং করেনা মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় এর কোনােটিই বাস্তবায়ন করা যায়নি।

ফলে শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। বর্তমান ২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম দুই মাসেও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে জাতীয় প্রয়ােজনের কথা বিবেচনা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাক্রম জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড (এনসিটিবি) জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) এর সার্বিক সহায়তায় বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা -২০২১ (শিখন ঘাটতি পূরণ পরিকল্পনাসহ) প্রস্তুত করেছে।

শিক্ষার্থীরা যেন পূর্ববর্তী শ্রেণির আবশ্যকীয় অর্জনযােগ্য যােগ্যতাসমূহ অর্জন করতে পারে এবং বর্তমান শ্রেণিতে অর্জনযােগ্য যােগ্যতা পুরােপুরিই অর্জন করতে পারে সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই এই পাঠপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

এই বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা-২০২১’ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করলে আশা করা যায় প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা করােনাজনিত কারণে শিখন ঘাটতি অনেকাংশে পুরণ করে বর্তমান শ্রেণির শিখনফল অর্জনে সক্ষম হবে।

‘বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা-২০২১’ প্রণয়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির সহযােগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

স্বল্প সময়ে এই পরিকল্পনা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

আপনি আরও পছন্দ করবেন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন।

ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দেশের অন্যতম প্রিয় অনলাইন পোর্টাল সর্বদাই সত্য ও বস্তুনির্ভর তথ্য প্রকাশে বদ্ধপরিকর। আপনার যেকোন অভিযোগ আপত্তি ও পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে।

ক্যাটাগরি ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখুন

আমাদের আরও কিছু ওয়েবসাইট: সফটডোড, গ্র্যাফিয়ার, ভিডিও বার্তা, বিডি রোস্টার, সাহসী বার্তা, বঙ্গ আয়না;

 

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ